দেশের অপরূপ প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের জনপদের নাম পঞ্চগড়। শীতপ্রবণ এ জেলার তেঁতুলিয়া থেকে এ সময়টাতে
বেশ স্পষ্ট দেখা যায় বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘার
চূড়া। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারতের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সীমান্ত নদী মহানন্দায়
সূর্যাস্ত দর্শন, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, সমতল ভূমিতে গড়ে ওঠা সবুজের
নৈসর্গ চা বাগানসহ নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর পঞ্চগড়। অন্যদিকে,
মোঘল আমলের স্থাপত্য মির্জাপুর শাহী মসজিদ, বার আউলিয়ার মাজার, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের
তীর্থস্থান বদেশ্বরী মন্দির (সীতার ৫১ পীঠের এক পীঠ), পাথরসমৃদ্ধ রকস
মিউজিয়াম, প্রাচীন ডাকবাংলো, পিকনিক কর্নার, কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেটের
আনন্দ ধারা, শিশুপার্ক, ইত্যাদি দেখলে পর্যটকদের চোখ জুড়িয়ে যাবে। অঢেল
অর্থ ব্যয় করে চীনের তিব্বত, নেপাল বা ভারতে না গিয়েও সেপ্টেম্বর থেকে
নভেম্বর মাস পর্যন্ত ঋতু বৈচিত্র্যের কারণে শীতের মেঘমুক্ত নীলাকাশে ভেসে
ওঠে তুষারশুভ্র হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘা।
পর্বতের বরফঢাকা শরীরে সূর্যের আলো পড়লে তা চকচকে হয়ে ওঠে। তাই দেশ বিদেশ
থেকে মানুষ তেঁতুলিয়ায় ভিড় করতে শুরু করেছে। কেউ একা, কেউ বন্ধুদের নিয়ে
দলবেঁধে আবার কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে আসছেন এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সাক্ষী
হতে। তেঁতুলিয়ার পুরানো ডাকবাংলোর পাশ ঘেঁষে প্রবাহিত মহানন্দার পাড়ে
দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের বর্ণিল আলোকচ্ছ্বটায় উদ্ভাসিত অভূতপূর্ব দৃশ্যে
অন্যরকম ভালো লাগার দ্যুতিতে মন ভরে যায়। দিনের আলো শেষে সীমান্তের
কাঁটাতার ঘেঁষা ভারতের সার্চ লাইটের আলো, শিলিগুড়ি শহরের নিয়নবাতি,
মহানন্দা নদীর পানির কুল কুল শব্দ পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন সুবিধা চালু হওয়ায় প্রতিদিনই তেঁতুলিয়ায়
দেশি-বিদেশি পর্যটক ও প্র্রকৃতিপ্রেমীদের ভিড় বাড়ছে। কিন্তু পর্যাপ্ত
আবাসন সুবিধা না থাকায় রাত্রি যাপনের জন্য বাংলাবান্ধা-তেঁতুলিয়া থেকে ফিরে
যেতে হয় ৬০ কিলোমিটার দূরে পঞ্চগড় শহরে। ফলে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন
পর্যটকরা। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় অপার সম্ভাবনাময় এ এলাকাটিকে পূর্ণ
পর্যটন এলাকায় রূপান্তরিত করা সম্ভব।
বাংলাবান্ধা থেকে নেপালের দূরত্ব মাত্র ৬১ কিলোমিটার, এভারেস্ট শৃঙ্গ ৭৫ কিলোমিটার, ভুটান ৬৪ কিলোমিটার, চীন ২০০ কিলোমিটার, ভারতের দার্জিলিং ৫৮ কিলোমিটার, শিলিগুড়ি ৮ কিলোমিটার আর কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। পঞ্চগড় জেলা মোটর মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে বাংলাবান্ধা এবং বাংলাবান্ধা থেকে ঢাকা পর্যন্ত হানিফ, শ্যামলী বা নাবিল পরিবহনের এসি/ননএসি বাস চলাচল করছে। এছাড়া ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর পর্যন্ত এসে সেখান থেকে বাস, মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কারে করে যাওয়া যায় বাংলাবান্ধা পর্যন্ত।
সংকলনঃ জনাব মোঃ নাজিমুল হাসান খান
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি
তরুণ উন্নয়ন সংঘ, বাংলাদেশ।
বাংলাবান্ধা থেকে নেপালের দূরত্ব মাত্র ৬১ কিলোমিটার, এভারেস্ট শৃঙ্গ ৭৫ কিলোমিটার, ভুটান ৬৪ কিলোমিটার, চীন ২০০ কিলোমিটার, ভারতের দার্জিলিং ৫৮ কিলোমিটার, শিলিগুড়ি ৮ কিলোমিটার আর কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। পঞ্চগড় জেলা মোটর মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে বাংলাবান্ধা এবং বাংলাবান্ধা থেকে ঢাকা পর্যন্ত হানিফ, শ্যামলী বা নাবিল পরিবহনের এসি/ননএসি বাস চলাচল করছে। এছাড়া ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর পর্যন্ত এসে সেখান থেকে বাস, মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কারে করে যাওয়া যায় বাংলাবান্ধা পর্যন্ত।
সংকলনঃ জনাব মোঃ নাজিমুল হাসান খান
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি
তরুণ উন্নয়ন সংঘ, বাংলাদেশ।
No comments:
Post a Comment