টেকনাফ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
এটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ-পূর্ব কোনায় অবস্থিত। কক্সবাজার জেলাসদর থেকে
এর দূরত্ব ৮৬ কিলোমিটার। টেকনাফ উপজেলার পূর্ব প্রান্ত দিয়ে বয়ে গেছে নাফ
নদ; এই নাফ নদের থেকেই এই অঞ্চলটির নামকরণ হয়েছে।
টেকনাফের বহু
পর্যটক আকর্ষনীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে টেকনাফের সমুদ্র সৈকত, নে-টং
বা দেবতার পাহাড়, মাথিনের কূপ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ সৈন্যদের
তৈরী করা বাংকার ইত্যাদি। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের তুলনায় টেকনাফ সমুদ্র
সৈকতের পানি অধিক পরিষ্কার। টেকনাফ উপজেলায় ভ্রমণ করতে গেলে পর্যটকগণ
মাথিনের কূপ দর্শন করতে কখনই ভুল করেন না। মাথিনের কুপ টেকনাফ থানার
সম্মুখে অবস্থিত।বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে কলকাতার ধীরাজ ভট্টাচা র্য নামে
এক পুলিশ কর্মকর্তা টেকনাফ থানায় বদলী হয়ে আসেন।এ সময় সেকানকার আদিবাসী
সম্প্রদায়ের এক রাজার কন্যা থানায় অবস্থিত পাত কুয়া থেকে পানি আনতে যেত।
থানার নবাগত সুদর্শন তরুণ কর্মকর্তা ধীরাজ থানায় বসে বসে মাথিনের পানি
আনা-নেয়া দেখতেন। এভাবে ধীরাজের সঙ্গে মাথিনের দৃষ্টি বিনিময় এবং পরে তা
প্রেমে পরিণত হয়। চৌদ্দ বছর বয়সী মাথিন ও ধীরাজের নিখাদ প্রেমের ঐতিহাসিক
নিদর্শন এ মাথিনের কূপ। গোত্র আভিজাত্যের প্রতিবন্ধকতায় ধীরাজ-মাথিনের বিয়ে
হয়নি। সমধুর প্রেমের করুণ বিচ্ছেদে মাথিন তিলে তিলে মৃত্যুবরণ করেন। এতে
শাশ্বত অকৃত্রিম প্রেমের এক ইতিহাস বিরচিত হয়। মাথিনের অতৃপ্ত প্রেমের
আমোঘ সাক্ষী এই মাথিনের কূপ দর্শনে এলে আরো অনেক অজানা কাহিনী জানা যায়।
এছাড়াও টেকনাফে রয়েছে একটি সমৃদ্ধ বার্মিজ মার্কেট। এ মার্কেটে প্রতিদিন
শত শত পর্যটক কেনাকাটা করে থাকেন।
-বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন
সংকলনঃ জনাব মোঃ নাজিমুল হাসান খান
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি
তরুণ উন্নয়ন সংঘ, বাংলাদেশ।
-বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন
সংকলনঃ জনাব মোঃ নাজিমুল হাসান খান
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি
তরুণ উন্নয়ন সংঘ, বাংলাদেশ।
No comments:
Post a Comment