পাহাড়, সাগর ও সবুজের মাঝে জ্যোৎস্নার খেলা, এমনকি মেঘের রাজ্যে নিজেকে
হারিয়ে ফেলার মতো চোখ জুড়ানো পর্যটন স্থান রয়েছে এই বাংলাদেশেই । অপরূপ
সৌন্দর্যের এই দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান।
দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক তাই ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রতিবছর ভিড় জমিয়ে থাকেন
বাংলাদেশে ।এই বর্ষা মৌসুম রাঙামাটি যাওয়ার উপযুক্ত সময়। অনেকেই এই
সুন্দরের নগরীতে যেতে আগ্রহী। কিন্তু সেখানে কীভাবে সেখানে যাবেন, কী কী
জায়গা ঘুরে দেখবেন, এমন নানা প্রশ্ন তাদের মনে উঁকি দেয়। তাদের সেসব
প্রশ্নের উত্তর দিতেই জেনে নিন রাঙামাটির যাবতীয় খুঁটিনাটি।
রাঙামাটি-
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা রাঙামাটি। কাপ্তাই লেকের বুকে ভেসে থাকা ছোট্ট এর জেলা শহর আর আশপাশে সর্বত্রই রয়েছে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় স্থান। এখানকার জায়গাগুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে সাজে। তবে বর্ষার সাজ একেবারেই অন্যরূপ।
রাঙামাটি যাবেন?
ঢাকা সায়েদাবাদ, কলাবাগান, ফকিরাপুল অথবা গাবতলি থেকে শ্যামলী, হানিফ, ইউনিক, এস আলম এবং বিআরটিসি বাসে করে যেতে পারবেন রাঙামাটি। তবে সব থেকে ভালো হবে সায়েদাবাদ থেকে টিকিট করলে। নন এসি বাস ৬২০ টাকা । এসি বাস আছে শ্যামলী এবং বিআরটিসির ভাড়া ৯০০-১০০০ টাকা। সাধারণত সকাল ৮ টা, ৯ টা এবং ১০ টায় প্রতিটি কোম্পানির ২ টা করে বাস ছাড়ে। আবার রাতে ৮ টা থেকে ১০ টার মধ্যে প্রতি কোম্পানির দুইটা করে বাস ছাড়ে।
কোথায় থাকা যায়?
রাঙামাটি বেশ কিছু হোটেল মোটেলে আপনি থাকতে পারেন। হোটেলের মধ্যে অন্যতম হোটেল সুফিয়া, সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল প্রিন্স ইত্যাদি। হোটেলের নন এসি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং ডাবল রুম ৮০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। আর এসি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ১০০০-১৮০০ টাকা, ডাবল ১৫০০-২৫০০ টাকার মধ্যে। আর মোটেলের মধ্যে রয়েছে জর্জ মোটেল, পর্যটন মোটেল ইত্যাদি। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন পর্যটন কমপ্লেক্সে সুন্দর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
শুভলং ঝর্ণা :
রাঙামাটি জেলার সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় জায়গাগুলোর মধ্যে শুভলং ঝরনা একটি। এই ঝরনা দেখতে সর্বক্ষণ পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসে ঝরনাটি পতিত হয়েছে কাপ্তাই লেকে। শুভলংয়ের কাছে যেতে বাধা নেই, ফলে ঝরনার রূপ মাধুর্য প্রাণভরে উপভোগ করা যায়।
শুভলং ঝর্ণায় যাবেন?
শহর থেকে শুভলং ঝর্ণায় যেতে হলে নৌ পথে যেতে হয়। ইঞ্জিন চালিত ট্রলার রিজার্ভ করাই সবচেয়ে ভালো উপায়। শুভলং ঝর্ণা রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার মধ্যে পড়েছে। রাঙামাটি রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে অথবা পর্যটন এলাকা থেকে ট্রলার রিজার্ভ করা যায়। এগুলোর ভাড়া আকার অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে ভাড়া সাধারণত ১২০০-৩০০০ টাকার মধ্যে। মূল শহর থেকে শুভলং যেতে সময় লাগবে দেড় ঘণ্টার মত। শুভলং যেতে হয় কাপ্তাই লেকের উপর দিয়ে। কাপ্তাই লেক দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় কৃত্রিম লেক।
ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে চান?
রাঙামাটি শহরের দোয়েল চত্বর বা তাবলছড়ি বাজার থেকে সি এন জি নিতে হবে। দোয়েল চত্বর থেকে ভাড়া নেবে ১০০ টাকা এবং তাবলছড়ি থেকে ভাড়া ৫০ টাকা। বর্ষার এই সময়ে ঝুলন্ত ব্রিজের উপর পানি জমে যায়।
রঙরাং পাহাড়
রঙরাং পাহাড়ের চূড়ায় না উঠলে রাঙামাটির সৌন্দর্য অপূর্ণ থেকে যাবে। পাহাড়ের কোলঘেঁষে বয়ে গেছে মোহনীয় কর্ণফুলী। কর্ণফুলীর পাশে বরকল ও জুরাছড়ি উপজেলায় এর অবস্থান। চারপাশের এমন সব সৌন্দর্য চোখের সামনে চলে আসবে যদি রঙরাং চূড়ায় উঠতে পারেন !
ঘাগড়া ঝর্ণা
পর্বতপ্রেমী পর্যটকরা আসতে পারেন পাহাড় অরন্যে ঘেরা রাঙামাটির ঘাগড়া ঝর্না অভিমুখে। পাহাড় হ্রদের নিবিড় নৈকট্যে আপনার মনেও সৃষ্টি করতে পারে ভিন্ন এক অনুভুতি। প্রতি বছর বর্ষা এলেই জেগে উঠে পাহাড়ের খাদে লুকিয়ে থাকা ঘাগড়ার এ র্ঝনাগুলো। পার্বত্য রাঙামাটির বিস্তৃত পাহাড় রাশিতে অসংখ্য ঝর্নার অন্যতম শহর থেকে মাত্র ৩০ মিনিট এর দূরত্বে অবস্থিত ঘাগড়ার ঝর্নাগুলো।মৌসুমী এইসব ঝর্নার আয়ুস্কাল ৩-৪ মাস। মূলতঃ বর্ষাকাল জুড়েই প্রবাহিত হয় এইসব ঝর্নাধারা । এ ঝর্না এলাকায় রয়েছে ছোট-বড় ৫-৬ টি ঝর্না।ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকার এ ঝর্নাটি তেমন পরিচিতি না পেলেও বর্ষা মৌসুম এলে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ঝর্নাটি দেখতে ভীড় জমায়।বিশালাকৃতির ঘাগড়া ঝর্ণাটি যে মৌসুমী ঝর্ণা বিশ্বাস করতেই যেন মন চায়না। অনেক র্পযটক রাঙামাটি এসেও ঘাগড়া ঝর্না না দেখেই ফিরে যান পর্যাপ্ত তথ্য না পেয়ে। পর্যটন করপোরেশন পর্যটকদের এ ব্যপারে কোনো তথ্য সরবরাহ ও সহযোগিতা না করায় সর্ম্পূন ব্যক্তিগত উদ্যোগেই এই ঝর্ণায় বেড়াতে হয় ।
কীভাবে যাবেন?
রাঙামাটি শুভলং ঝর্ণা ছাড়াও আছে ঘাগড়া ঝর্ণা। এটি কলাবাগান হাজাছড়ি নামক স্থানে অবস্থিত। এই ঝর্ণা মূলত বর্ষাকালেই প্রবাহিত হয়। এই ঝর্ণা এলাকায় ছোট বড় ৫-৬ টি ঝর্ণা রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে অনেক পর্যটক এই ঝর্ণাগুলো দেখতে ভিড় জমায়। রাঙামাটি শহর থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে ঘাগড়া ঝর্ণায় যাওয়া যায়। ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা।
এছাড়া রাঙামাটির আরও যেসব জায়গায় ভ্রমণ করা যায় তা হল-
• -কাপ্তাই লেক
• -কাপ্তাই প্রোজেক্ট
• -টি গার্ডেন
• -ডিসি বাংলো
• -দুই পাহারের মাঝে কর্ণফুলী নদী
• -বনবিহার ইত্যাদি।
Collected.
সংকলনঃ জনাব মোঃ নাজিমুল হাসান খান
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি
তরুণ উন্নয়ন সংঘ, বাংলাদেশ।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা রাঙামাটি। কাপ্তাই লেকের বুকে ভেসে থাকা ছোট্ট এর জেলা শহর আর আশপাশে সর্বত্রই রয়েছে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় স্থান। এখানকার জায়গাগুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে সাজে। তবে বর্ষার সাজ একেবারেই অন্যরূপ।
রাঙামাটি যাবেন?
ঢাকা সায়েদাবাদ, কলাবাগান, ফকিরাপুল অথবা গাবতলি থেকে শ্যামলী, হানিফ, ইউনিক, এস আলম এবং বিআরটিসি বাসে করে যেতে পারবেন রাঙামাটি। তবে সব থেকে ভালো হবে সায়েদাবাদ থেকে টিকিট করলে। নন এসি বাস ৬২০ টাকা । এসি বাস আছে শ্যামলী এবং বিআরটিসির ভাড়া ৯০০-১০০০ টাকা। সাধারণত সকাল ৮ টা, ৯ টা এবং ১০ টায় প্রতিটি কোম্পানির ২ টা করে বাস ছাড়ে। আবার রাতে ৮ টা থেকে ১০ টার মধ্যে প্রতি কোম্পানির দুইটা করে বাস ছাড়ে।
কোথায় থাকা যায়?
রাঙামাটি বেশ কিছু হোটেল মোটেলে আপনি থাকতে পারেন। হোটেলের মধ্যে অন্যতম হোটেল সুফিয়া, সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল প্রিন্স ইত্যাদি। হোটেলের নন এসি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং ডাবল রুম ৮০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। আর এসি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ১০০০-১৮০০ টাকা, ডাবল ১৫০০-২৫০০ টাকার মধ্যে। আর মোটেলের মধ্যে রয়েছে জর্জ মোটেল, পর্যটন মোটেল ইত্যাদি। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন পর্যটন কমপ্লেক্সে সুন্দর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
শুভলং ঝর্ণা :
রাঙামাটি জেলার সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় জায়গাগুলোর মধ্যে শুভলং ঝরনা একটি। এই ঝরনা দেখতে সর্বক্ষণ পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসে ঝরনাটি পতিত হয়েছে কাপ্তাই লেকে। শুভলংয়ের কাছে যেতে বাধা নেই, ফলে ঝরনার রূপ মাধুর্য প্রাণভরে উপভোগ করা যায়।
শুভলং ঝর্ণায় যাবেন?
শহর থেকে শুভলং ঝর্ণায় যেতে হলে নৌ পথে যেতে হয়। ইঞ্জিন চালিত ট্রলার রিজার্ভ করাই সবচেয়ে ভালো উপায়। শুভলং ঝর্ণা রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার মধ্যে পড়েছে। রাঙামাটি রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে অথবা পর্যটন এলাকা থেকে ট্রলার রিজার্ভ করা যায়। এগুলোর ভাড়া আকার অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে ভাড়া সাধারণত ১২০০-৩০০০ টাকার মধ্যে। মূল শহর থেকে শুভলং যেতে সময় লাগবে দেড় ঘণ্টার মত। শুভলং যেতে হয় কাপ্তাই লেকের উপর দিয়ে। কাপ্তাই লেক দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় কৃত্রিম লেক।
ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে চান?
রাঙামাটি শহরের দোয়েল চত্বর বা তাবলছড়ি বাজার থেকে সি এন জি নিতে হবে। দোয়েল চত্বর থেকে ভাড়া নেবে ১০০ টাকা এবং তাবলছড়ি থেকে ভাড়া ৫০ টাকা। বর্ষার এই সময়ে ঝুলন্ত ব্রিজের উপর পানি জমে যায়।
রঙরাং পাহাড়
রঙরাং পাহাড়ের চূড়ায় না উঠলে রাঙামাটির সৌন্দর্য অপূর্ণ থেকে যাবে। পাহাড়ের কোলঘেঁষে বয়ে গেছে মোহনীয় কর্ণফুলী। কর্ণফুলীর পাশে বরকল ও জুরাছড়ি উপজেলায় এর অবস্থান। চারপাশের এমন সব সৌন্দর্য চোখের সামনে চলে আসবে যদি রঙরাং চূড়ায় উঠতে পারেন !
ঘাগড়া ঝর্ণা
পর্বতপ্রেমী পর্যটকরা আসতে পারেন পাহাড় অরন্যে ঘেরা রাঙামাটির ঘাগড়া ঝর্না অভিমুখে। পাহাড় হ্রদের নিবিড় নৈকট্যে আপনার মনেও সৃষ্টি করতে পারে ভিন্ন এক অনুভুতি। প্রতি বছর বর্ষা এলেই জেগে উঠে পাহাড়ের খাদে লুকিয়ে থাকা ঘাগড়ার এ র্ঝনাগুলো। পার্বত্য রাঙামাটির বিস্তৃত পাহাড় রাশিতে অসংখ্য ঝর্নার অন্যতম শহর থেকে মাত্র ৩০ মিনিট এর দূরত্বে অবস্থিত ঘাগড়ার ঝর্নাগুলো।মৌসুমী এইসব ঝর্নার আয়ুস্কাল ৩-৪ মাস। মূলতঃ বর্ষাকাল জুড়েই প্রবাহিত হয় এইসব ঝর্নাধারা । এ ঝর্না এলাকায় রয়েছে ছোট-বড় ৫-৬ টি ঝর্না।ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকার এ ঝর্নাটি তেমন পরিচিতি না পেলেও বর্ষা মৌসুম এলে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ঝর্নাটি দেখতে ভীড় জমায়।বিশালাকৃতির ঘাগড়া ঝর্ণাটি যে মৌসুমী ঝর্ণা বিশ্বাস করতেই যেন মন চায়না। অনেক র্পযটক রাঙামাটি এসেও ঘাগড়া ঝর্না না দেখেই ফিরে যান পর্যাপ্ত তথ্য না পেয়ে। পর্যটন করপোরেশন পর্যটকদের এ ব্যপারে কোনো তথ্য সরবরাহ ও সহযোগিতা না করায় সর্ম্পূন ব্যক্তিগত উদ্যোগেই এই ঝর্ণায় বেড়াতে হয় ।
কীভাবে যাবেন?
রাঙামাটি শুভলং ঝর্ণা ছাড়াও আছে ঘাগড়া ঝর্ণা। এটি কলাবাগান হাজাছড়ি নামক স্থানে অবস্থিত। এই ঝর্ণা মূলত বর্ষাকালেই প্রবাহিত হয়। এই ঝর্ণা এলাকায় ছোট বড় ৫-৬ টি ঝর্ণা রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে অনেক পর্যটক এই ঝর্ণাগুলো দেখতে ভিড় জমায়। রাঙামাটি শহর থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে ঘাগড়া ঝর্ণায় যাওয়া যায়। ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা।
এছাড়া রাঙামাটির আরও যেসব জায়গায় ভ্রমণ করা যায় তা হল-
• -কাপ্তাই লেক
• -কাপ্তাই প্রোজেক্ট
• -টি গার্ডেন
• -ডিসি বাংলো
• -দুই পাহারের মাঝে কর্ণফুলী নদী
• -বনবিহার ইত্যাদি।
Collected.
সংকলনঃ জনাব মোঃ নাজিমুল হাসান খান
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি
তরুণ উন্নয়ন সংঘ, বাংলাদেশ।
No comments:
Post a Comment