Saturday, November 14, 2020

মাইসাহেবা জামে মসজিদ, শেরপুর।

শেরপুর শহরের একটি পুরনো ঐতিহ্য হল "মাইসাহেবা জামে মসজিদ"। শেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে শেরপুর সরকারি কলেজর দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে অবস্থিত। আনুমানিক ২৫০ বৎসর পূর্বে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। জেলার প্রাচীন নিদর্শনের এটি একটি। বক্রাকারে খিলানের ব্যবহার এবং সুউচ্চ মীনার ২টি সত্যি দৃষ্টিনন্দিত। স্থাপত্য কলার আধুনিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এই মসজিদটিতে। এটি শেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। শেরপুর শহরের প্রবেশের সময় এর মিনার দুটি অনেক দূর থেকে দেখা যায়। শেরপুর শহরে প্রবেশের পর যে কারো এই মসজিদটি দৃষ্টি কাড়বে।

শেরপুরের তিন আনি জমিদার মুক্তাগাছা জমিদার কে দাওয়াত করেছিলেন। দাওয়াতের উত্তরে মুক্তাগাছার জমিদার বিশ্রাম করার জন্য শেরপুরে একটি জায়গা চান। তখন মসজিদের এই স্থানে জমিদারের খাজনা আদায়ের ঘরের পাশে একটি ঘর ছিল, শেরপুরের জমিদার এই জায়গা মুক্তাগাছার জমিদার কে দেবে
বলে মনস্থির করেন এবং হাতি দিয়ে ঘর ভেঙ্গে দেওয়ার আদেশ করেন। কিন্তু হাতি যখনি ঘরটির কাছে আসে তখনই সালাম দিয়ে বসে যায়। খবর পেয়ে তিন আনি জমিদার এসে দেখি ঘরের ভিতর একজন মহিলা সৃষ্টিকর্তার উপাসনায় মগ্ন জমিদার বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং ক্ষমা চেয়ে চলে আসেন। সেই ধর্মপ্রান মহিলার নামই মাইসাহেবা। তার মৃত্যুর পর জমিদার এখানে যে মসজিদটি নির্মাণ করেন তার নাম দেন "মাইসাহেবা মসজিদ"।

বহুতল বিশিষ্ট এই মসজিদে একসাথে প্রায় ৯০০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে। প্রতি শুক্রবারে শহরের বাহির থেকেও অনেক মুসল্লিগণ নামাজ আদায় করতে আসে এ মসজিদে। বিশাল এই মসজিদের সামনের অংশে অনেক জায়গা রয়েছে। এখানে প্রতি বছর ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 



সংকলন- মোঃ নাজিমুল হাসান খান।

No comments:

Post a Comment

আন্তর্জাতিক সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস

আন্তর্জাতিক সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে   একটি জাতীয় দিবস। ১৯৬৪ সাল থেকে প্রতি বছরের ১৫ ই অক্টোবর দিবসটি...