মোবাইল ব্যাংকিংয়ে তাৎক্ষণিকভাবে শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে গ্রাহক। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণও। কিন্তু সেবা নিতে গিয়ে প্রতিনিয়ই গ্রাহক কিছু সমস্যায় পড়ে থাকেন।
অনেক সময় আর্থিক লেনদেন করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল নম্বরে টাকা চলে যায়। বেশিরভাগ ভুক্তভোগী কৌশল না জানায় সেই টাকা ফেরত পান না। এ ধরনের সমস্যায় কী কী করণীয় তার একটি নির্দেশনা দিয়েছে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
তাদের পরামর্শ অনুযায়ী, ভুল নম্বরে টাকা চলে গেলে প্রথমেই প্রাপককে ফোন দেবেন না। কারণ ভুলবশত অন্য নম্বরে টাকা চলে গেলে, তা ফেরত দেয়ার মানসিকতা খুব কম লোকই রাখে। তাই তিনি টাকা উঠিয়ে ফেললে ভুক্তভোগীর করার কিছুই থাকবে না।
ভুলবশত কোনো নম্বরে টাকা গেলে প্রথমে কাছের থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সেখানে ট্রানজেকশন নম্বর নিয়ে জিডি করে যত দ্রুত সম্ভব সেই জিডি কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। যোগাযোগের পর কর্মকর্তারা জিডি কপি ও মেসেজ খতিয়ে দেখেন। এরপর ভুলে টাকা চলে গেলে ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট টেম্পোরারি লক করে দেয়া হয়। যাতে তিনি কোনো টাকা তুলতে না পারেন।
পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বিকাশ কর্মকর্তারা। প্রাপক ফোন ধরে যদি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই টাকা নিজের নয় বলে জানান, তখন অফিস থেকেই ওই টাকা নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে স্থানান্তর করে কোম্পানিগুলো। আর যদি ওই ব্যক্তি নিজের টাকা বলে দাবি করেন, তবে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাকে প্রমাণসহ অফিসে এসে অ্যাকাউন্ট ঠিক করে নিতে নির্দেশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সেই নির্দেশনা না মেনে পরবর্তী ৬ মাসে ওই ব্যক্তি না আসলে ভুক্তভোগীর অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে। এর পরবর্তী ৬ মাসেও না এলে অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে অটো ডিজেবল হয়ে যাবে।
-সংগৃহীত-
No comments:
Post a Comment