অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল পাওয়ার সংবাদে তাঁর শহর কলকাতায় খুশির
জোয়ার শুরু হয়েছে। ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। এবার
পেলেন অভিজিৎ। তাঁর পুরো নাম অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য
সেনেরই ছাত্র অভিজিৎ।
অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন একজন আমেরিকান অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি এমআইটির ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি বিভাগের একজন আন্তর্জাতিক অধ্যাপক। ব্যানার্জি, আব্দুল লতিফ জামিল পোভার্টি অ্যাকশন ল্যাব-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং কনসোর্টিয়াম অন ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেমস অ্যান্ড পোভার্টি এর একজন সদস্যও। এছাড়াও ব্যানার্জি অর্থনীতি বিশ্লেষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং সেন্টার ফর ইকোনমিক পলিসি রিসার্চ, কিইল ইনস্টিটিউট, আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস এন্ড সায়েন্স ও ইকোনমিক সোসাইটির সম্মানিত ফেলো। এছাড়াও তিনি পুওর ইকোনমিকস এর একজন সহকারী লেখকও। "বৈশ্বিক দারিদ্র্যতা দূরীকরণে" তাদের কাজের জন্য অভিজিৎ ও তার স্ত্রী এস্তের দুফ্লো এবং মাইকেল ক্রেমারসহ যৌথভাবে ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি অমর্ত্য সেন এর পর অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া দ্বিতীয় বাঙালি এবং নোবেলজয়ী চতুর্থ বাঙালি। এছাড়াও অভিজিৎ-এস্থার দম্পতি হলো ৫ম নোবেল বিজয়ী দম্পতি।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৬১ সালে ভারতের কলকাতাতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা দীপক ব্যানার্জি ছিলেন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক এবং তার মা নির্মলা ব্যানার্জিও ছিলেন সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস, কলকাতা এর অর্থনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক। তিনি সাউথ পয়েন্ট স্কুল এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে লেখাপড়া করেন, যেখান থেকে ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে বি.এস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৮৩ সালে দিল্লীর জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি অর্থনীতিতে পিএইচডিতে পড়াশুনার জন্য হার্ভার্ডে ভর্তি হন। অর্থনীতিতে পিএইচডি নিতে তার থিসিস এর বিষয়টি ছিলো "এসেস ইন ইনফরমেশন ইকোনমিকস"
অভিজিৎ বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি'র অধীনে ফোর্ড ফাউন্ডেশন এর অর্থনীতি বিভাগে আন্তর্জাতিক অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার কাজের মূল লক্ষ্য হলো অর্থনীতিতে উন্নয়ন। এস্তের দুফ্লো, মাইকেল ক্রেমার, জন অ্যা. লিস্ট এবং সেন্দিল মুলাইনাথান কে সাথে নিয়ে অর্থনীতিতে কার্যসম্বন্ধীয় সম্পর্ক বিষয়ের পদ্ধতি উদ্ভাবনে ফিল্ড এক্সপেরিমেন্ট এর প্রস্তাব করেন। তিনি ২০০৪ সালে আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এর ফেলো নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯ সালে অর্থনীতির সামাজিক বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ইনফোসিস পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি অর্থনীতির সামাজিক বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ইনফোসিস পুরস্কার উদ্বোধনী করার অভ্যর্থনাকারীদের একজন।
২০১২ সালে পুওর ইকোনমিকস বইয়ের জন্য এস্তের দুফ্লো ও অভিজিৎ যৌথভাবে জেরাল্ড লুয়েব অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ২০১৩ সালে তৎকালীন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন কর্তৃক সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বিশেষজ্ঞ প্যানেলে কাজের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০১৪ সালে তিনি কিইল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি থেকে বার্নহার্ড-হামস-পুরস্কার পান। ২০১৯ সালে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ৩৪তম বার্ষিক সম্মেলনে তিনি সামাজিক নীতির পুনঃপ্রণয়ন বিষয়ক বক্তৃতা দেন।
বৈশ্বিক দারিদ্র্যতা দূরীকরণে ভূমিকা রাখায় এস্তের দুফ্লো এবং মাইকেল ক্রেমার এর সাথে অর্থনীতিতে ২০১৯ সালে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হন।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, এমআইটির সাহিত্য বিভাগের প্রভাষক ড. অরুন্ধতী তুলি ব্যানার্জিকে বিয়ে করেন। অভিজিৎ ও অরুন্ধতী একসাথে কলকাতাতেই বেড়ে ওঠেন, কবির ব্যানার্জি নামে তাদের এক পুত্র সন্তান ছিলো, যিনি ২০১৬ সালে মারা যান। পরে, অভিজিৎ ও অরুন্ধতীর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। অভিজিৎ ও এস্তের দুফ্লো বিবাহপূর্ব দীর্ঘ ১৮ মাস একত্রে বসবাস করেন। ২০১২ সালে তাদের এক সন্তান জন্ম নেয়। ১৯৯৯ সালে এস্থার এমআইটিতে অর্থনীতিতে পিএইচডি করার সময় অভিজিৎ তার যুগ্ম-তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। এস্থারও এমআইটির পোভার্টি অ্যালিভিয়েশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস বিভাগের একজন অধ্যাপক। অভিজিৎ ও এস্থার আনুষ্ঠানিকভাবে একে-অপরকে ২০১৫ সালে বিয়ে করেন।
অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন একজন আমেরিকান অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি এমআইটির ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি বিভাগের একজন আন্তর্জাতিক অধ্যাপক। ব্যানার্জি, আব্দুল লতিফ জামিল পোভার্টি অ্যাকশন ল্যাব-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং কনসোর্টিয়াম অন ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেমস অ্যান্ড পোভার্টি এর একজন সদস্যও। এছাড়াও ব্যানার্জি অর্থনীতি বিশ্লেষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং সেন্টার ফর ইকোনমিক পলিসি রিসার্চ, কিইল ইনস্টিটিউট, আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস এন্ড সায়েন্স ও ইকোনমিক সোসাইটির সম্মানিত ফেলো। এছাড়াও তিনি পুওর ইকোনমিকস এর একজন সহকারী লেখকও। "বৈশ্বিক দারিদ্র্যতা দূরীকরণে" তাদের কাজের জন্য অভিজিৎ ও তার স্ত্রী এস্তের দুফ্লো এবং মাইকেল ক্রেমারসহ যৌথভাবে ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি অমর্ত্য সেন এর পর অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া দ্বিতীয় বাঙালি এবং নোবেলজয়ী চতুর্থ বাঙালি। এছাড়াও অভিজিৎ-এস্থার দম্পতি হলো ৫ম নোবেল বিজয়ী দম্পতি।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৬১ সালে ভারতের কলকাতাতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা দীপক ব্যানার্জি ছিলেন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক এবং তার মা নির্মলা ব্যানার্জিও ছিলেন সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস, কলকাতা এর অর্থনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক। তিনি সাউথ পয়েন্ট স্কুল এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে লেখাপড়া করেন, যেখান থেকে ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে বি.এস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৮৩ সালে দিল্লীর জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি অর্থনীতিতে পিএইচডিতে পড়াশুনার জন্য হার্ভার্ডে ভর্তি হন। অর্থনীতিতে পিএইচডি নিতে তার থিসিস এর বিষয়টি ছিলো "এসেস ইন ইনফরমেশন ইকোনমিকস"
অভিজিৎ বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি'র অধীনে ফোর্ড ফাউন্ডেশন এর অর্থনীতি বিভাগে আন্তর্জাতিক অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার কাজের মূল লক্ষ্য হলো অর্থনীতিতে উন্নয়ন। এস্তের দুফ্লো, মাইকেল ক্রেমার, জন অ্যা. লিস্ট এবং সেন্দিল মুলাইনাথান কে সাথে নিয়ে অর্থনীতিতে কার্যসম্বন্ধীয় সম্পর্ক বিষয়ের পদ্ধতি উদ্ভাবনে ফিল্ড এক্সপেরিমেন্ট এর প্রস্তাব করেন। তিনি ২০০৪ সালে আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এর ফেলো নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯ সালে অর্থনীতির সামাজিক বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ইনফোসিস পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি অর্থনীতির সামাজিক বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ইনফোসিস পুরস্কার উদ্বোধনী করার অভ্যর্থনাকারীদের একজন।
২০১২ সালে পুওর ইকোনমিকস বইয়ের জন্য এস্তের দুফ্লো ও অভিজিৎ যৌথভাবে জেরাল্ড লুয়েব অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ২০১৩ সালে তৎকালীন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন কর্তৃক সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বিশেষজ্ঞ প্যানেলে কাজের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০১৪ সালে তিনি কিইল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি থেকে বার্নহার্ড-হামস-পুরস্কার পান। ২০১৯ সালে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ৩৪তম বার্ষিক সম্মেলনে তিনি সামাজিক নীতির পুনঃপ্রণয়ন বিষয়ক বক্তৃতা দেন।
বৈশ্বিক দারিদ্র্যতা দূরীকরণে ভূমিকা রাখায় এস্তের দুফ্লো এবং মাইকেল ক্রেমার এর সাথে অর্থনীতিতে ২০১৯ সালে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হন।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, এমআইটির সাহিত্য বিভাগের প্রভাষক ড. অরুন্ধতী তুলি ব্যানার্জিকে বিয়ে করেন। অভিজিৎ ও অরুন্ধতী একসাথে কলকাতাতেই বেড়ে ওঠেন, কবির ব্যানার্জি নামে তাদের এক পুত্র সন্তান ছিলো, যিনি ২০১৬ সালে মারা যান। পরে, অভিজিৎ ও অরুন্ধতীর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। অভিজিৎ ও এস্তের দুফ্লো বিবাহপূর্ব দীর্ঘ ১৮ মাস একত্রে বসবাস করেন। ২০১২ সালে তাদের এক সন্তান জন্ম নেয়। ১৯৯৯ সালে এস্থার এমআইটিতে অর্থনীতিতে পিএইচডি করার সময় অভিজিৎ তার যুগ্ম-তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। এস্থারও এমআইটির পোভার্টি অ্যালিভিয়েশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস বিভাগের একজন অধ্যাপক। অভিজিৎ ও এস্থার আনুষ্ঠানিকভাবে একে-অপরকে ২০১৫ সালে বিয়ে করেন।
তথ্যসূত্র- Online.
সংকলনঃ জনাব মোঃ নাজিমুল হাসান খান
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি
তরুণ উন্নয়ন সংঘ, বাংলাদেশ।
No comments:
Post a Comment